May 18, 2024, 8:15 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
সুজানগরের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিদর্শনে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী পাইকগাছায় গাছ কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পর্শে যুবকের মৃত্যু পাইকগাছায় সপ্তদ্বীপার সাহিত্য আসর অনুষ্ঠিত আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন; পাইকগাছায় ৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ মোট ১৯ প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠেছে সুন্দরগঞ্জ সাহিত্য সংসদের নতুন কমিটি গঠন বরগুনার তালতলীতে তিন ফসলি জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদে মানববন্ধন রাজশাহীর আম চীন, রাশিয়া বেলারুশসহ বিভিন্ন দেশে যাবে-কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ শত ভাগ পাশের সাফল্যে আঙ্গারু এস.এ বালিকা বিদ্যালয় র‌্যাব-১২’র অভিযানে ২১৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার, ১টি কাভার্ড ভ্যান জব্দ রায়গঞ্জে কুইজ প্রতিযোগীতায় শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ
উচ্চ ফলনশীল মিষ্টি আলু চাষে চরাঞ্চলের কৃষকের মুখে হাসি

উচ্চ ফলনশীল মিষ্টি আলু চাষে চরাঞ্চলের কৃষকের মুখে হাসি

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃপুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ও উচ্চ ফলনশীল মুড়াসাকি ও ওকিনামা জাতের মিষ্টি আলু লাভের আশায় চাষ করেছেন চরাঞ্চলের কৃষকরা। অল্প খরচে ও কম পরিচর্যায় বেশি ফলন এবং অধিক লাভ হওয়ায় মিষ্টি আলু চাষে আগ্রহী বেশি এ অঞ্চলের কৃষকদের। ফলন ভালো হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে।

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা জগদল নাগর নদীর পতিত বালুর চরে মিষ্টি আলু চাষ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন কৃষক হাসান আলী।

কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহায়তায় কৃষকরা জমিতে মুড়াসাকি ও ওকিনামা জাতের মিষ্টি আলু চাষ করেন। কৃষক হাসান আলীর জমিতে যে আলু বসেছে তার মধ্যে কোন কোন আলুর ওজন ৩ থেকে ৪ কেজি। উৎপাদিত এতো বড় আকারের মিষ্টি আলু দেখতে দূরদূরান্ত থেকে অনেকেই ভিড় করছেন, নিচ্ছেন পরামর্শ।

সরেজমিনে গিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মিষ্টি আলু চাষের ভালো ফলনের চিত্র দেখা যায়।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় মোট ৫ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে মিষ্টি আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ায় নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে।

ধর্মগড় এলাকার কৃষক জমির উদ্দীন জানান, চরের বালু মাটিতে এত সুন্দর ফসল হবে ভাবতেও পারিনি। এত বড় মিষ্টি আলু জীবনেও দেখিনি। দেখে খুব ভালো লাগছে। যত্ন করলে যে রত্ন পাওয়া যায় হাসান আলী তার উদাহরণ।

কৃষক হাসান আলী জানান, প্রথমে যখন শুরু করি হতাশা কাজ করছিল। এমন ফলনে আমি সত্যিই আনন্দিত। প্রথম বারেই এত সাফল্য পাব ভাবতে পারিনি। এ যাবৎ ৫০ হাজার টাকার মিষ্টি আলু বিক্রি করেছি জমিতে আরো তিনশত মনের উপরে আলু রয়েছে যার বাজার দর ৩ লক্ষ টাকার বেশি বিক্রি হবে বলে আশা করছি। তবে পানির সেচ বেশি দিতে হয়েছে কারণ চরের জমি মানেই বালু। আশা রাখি এবারও মিষ্টি আলু চাষে লাভবান হয়ে লাভের টাকায় কিছু একটা করবো।

একই এলাকার দেলদার হোসেন বলেন, আমাদের এলাকা চরাঞ্চল হওয়ায় এখানে অনান্য ফসলের চেয়ে মিষ্টি আলু চাষ করলে ফলন বেশি হয়। মিষ্টি আলু চাষে পরিশ্রম কম ও লাভ বেশি। ফলন ভালো হওয়ায় আশা রাখি এবারও লাভবান হবো। মিষ্টি আলু চাষে তেমন রোগবালাই নেই। এতে লেদা পোকা নামের এক ধরনের পোকার আক্রমণ হয়, যা থেকে পরিত্রাণের জন্য অনুমোদিত কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, কৃষক হাসান আলী ৩ থেকে ৪ কেজি ওজনের মিষ্টি আলু উৎপাদন করে উপজেলায় তাক লাগিয়ে দিয়েছে। বাজারে এ বিশেষ পুষ্টি গুন সম্পন্ন মিষ্টি আলুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে । আশা করছি অন্য কৃষকেরা ও তার এ চাষ দেখে উদ্বুদ্ধ হবেন।

তিনি আরও বলেন, ভালো ফলন পেতে হলে আগাছা পরিষ্কার, সুষম সারের ব্যবহার ও প্রয়োজনীয় সেচ দিতে হয়। সাধারণত বেলে-দোঁ-আশ মাটিতে মিষ্টি আলুর চাষ ভালো হয়। বীজ রোপণের ১৫০ থেকে ১৬০ দিন পর মিষ্টি আলুর ফলন ঘরে তোলার উপযোগী হয়। প্রতি শতকে ৬০০ থেকে সাড়ে ছয়শ আলুর কাটিং ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়। এবার জেলায় মিষ্টি আলুর ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হবেন কৃষকরা।

গৌতম চন্দ্র বর্মন
ঠাকুরগাঁও

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD